নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১/১০/২০২৪ ১০:০৮ এএম

নজরুল ইসলাম, উখিয়া উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে সমাজকর্মী পদে কর্মরত। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল মাহমুদের বিশ্বস্তজন হিসেবে পরিচিত এই কর্মীর বিরুদ্ধে উপকারভোগীদের জন্য বরাদ্ধকৃত উপহার ‘ছাতা’ চুরির অভিযোগ উঠেছে।

হেলপএজ ইন্টারন্যাশনাল নামে রোহিঙ্গা মানবিক কর্মসূচিতে কর্মরত একটি সংস্থার পক্ষ থেকে সমাজসেবা কার্যালয়কে উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণের জন্য দেওয়া হয় ১২০০ ছাতা উপহার।

সম্প্রতি দুর্গাপূজার ছুটিকালীন সময়ে কার্যক্রম বন্ধ থাকার সুযোগে কৌশলে কার্যালয়ে প্রবেশ করে কমপক্ষে শতাধিক ছাতা সরিয়ে ফেলেন নজরুল।

গত ১৩ অক্টোবর শনিবার বিকাল ৫ টার সময় উপজেলা পরিষদস্থ কার্যালয় থেকে বগলদাবা করে আনুমানিক ১৫টি ছাতা নিয়ে নজরুলের হন্তদন্ত হয়ে চলে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়ে স্থানীয় এক গণমাধ্যম কর্মীর ক্যামেরায়।

বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রশ্ন করা হলে তিনি সেসময় বলেছিলেন ছাতাগুলো মেরামতের জন্য নেওয়া হচ্ছে।

পরে সরজমিনে সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে নজরুল উত্তর দেন, ” মেরামত নয় নিজের বাসায় ছাতা গুলো নিয়ে যাচ্ছিলাম, এগুলো আমার ছাতা।”

নজরুলের এমন কৌশলী অপতৎপরতা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে উল্টো কর্মীর পক্ষে সাফাই গাইতে থাকেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল মাহমুদ। কার্যালয় বন্ধকালীন প্রবেশের সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ” ছাতাগুলো হেলপএজ দিয়েছে,এগুলো উপকারভোগীদের ছাতা। নজরুল এসব নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। আমরা মাস্টাররোল মেইনটেইন করি। “তবে তিনি মাস্টাররোল দেখতে চাইলে দেখাতে পারেননি।

গত ০৮ আগস্ট গণমাধ্যমে অনিয়ম,খামখেয়ালিপনা,অসদাচরণ ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে প্রকাশিত সংবাদের জেরে তদন্ত হয় আল মাহমুদ ও তার কর্মী নজরুলের বিরুদ্ধে।

তদন্তকার্য সম্পাদন করতে আসা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল জানিয়েছেন, ” প্রতিবেদন ডিডির কাছে জমা দিয়েছি, এর বেশি কিছু বলতে পারবনা।”

এ প্রসঙ্গে সমাজসেবার উপ পরিচালক হাসান মাসুদকে ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ না করায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

অনিয়মের অভিযোগে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন স্থানীয় সংবাদকর্মী আলাউদ্দিন সিকদার, যিনি তদন্তের দিন তার প্রতিবেদনের স্বপক্ষে স্বাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করেন।

আলাউদ্দিন সিকদার বলেন, ” আমি আমার প্রতিবেদনের পক্ষে যুক্তি দিয়েছি, আল মাহমুদ ও তার অধীনস্থ নজরুল দুর্নীতিগ্রস্থ। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকা স্বত্তেও তার বিরুদ্ধে তিন মাস অতিবাহিত হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

দুর্নীতি অনিয়ম কে প্রশ্রয় দেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন। তিনি বলেন, যেহেতু এটি সমাজসেবা দপ্তরে তদন্ত চলছে সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দপ্তর ব্যবস্থা নিবে।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজার আদর্শ মহিলা মাদরাসা অর্ধশত কোটি টাকার মালিক অধ্যক্ষ ফরিদ

মাদরাসার টাকায় নিজ নামে সম্পদ ক্রয় প্রতিবাদী শিক্ষকদের অমানবিক নির্যাতন এতিম ছাত্রীদের গৃহকর্মী হিসেবে ব্যবহার ...

নাইক্ষ্যংছড়িতে গোসল করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার কিশোরী, দুই যুবক গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের পাশের পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে বাঙালি যুবকের হাতে এক উপজাতি কিশোরী ধর্ষণের শিকার ...